ধর্ষিত নারী যারা প্রতিশোধ নিয়েছিলো
আপনি কি কখনও শুনেছেন কোন পুরুষ ধর্ষণ হতে ? হয়তো শুনেছেন কিন্তু সেটা খুব কম সময় । কিন্তু যদি বলি নারি ধর্ষণ ? হ্যা, এইবার আপনার উত্তর হবে “শুনেছি” কারন নারি ধর্ষণ এর কথা সবাই শুনেছেন । বর্তমান সময়ে ধর্ষণ একটি ভয়াবহ ব্যাধীর নাম । আর নারিরাই বেশি এই ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকে । প্রতিদিন সারা বিশ্বে কয়েক হাজার নারি ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকে । আর ধর্ষণের তালিকা করলে প্রথমে চলে আসে যুক্তরাষ্ট এর নাম ।
ধর্ষিত নারির খুব কম সংখ্যক নারিই সঠিক বিচার পেয়ে থাকে । কিন্তু কিছু বিচার বিচারকের আদেশের অপেক্ষায় থাকে না, কিছু সাজা ভিক্টিম নিজেই দিয়ে থাকে। তাই আজ অজানা৩৬০ আপনাদের ধর্ষক, ধর্ষিত ও প্রতিশোধের এমন কিছু সত্য ঘটনা তুলে ধরবে, আমি মনে করি ধর্ষকদের বিচার এমনই হওয়া উচিত ।
ধর্ষিত নারির খুব কম সংখ্যক নারিই সঠিক বিচার পেয়ে থাকে । কিন্তু কিছু বিচার বিচারকের আদেশের অপেক্ষায় থাকে না, কিছু সাজা ভিক্টিম নিজেই দিয়ে থাকে। তাই আজ অজানা৩৬০ আপনাদের ধর্ষক, ধর্ষিত ও প্রতিশোধের এমন কিছু সত্য ঘটনা তুলে ধরবে, আমি মনে করি ধর্ষকদের বিচার এমনই হওয়া উচিত ।
Jackie Clarke :
সিরিয়াসলি, কাহিনীটা কন্সপারেসিতে ভরা । ২০০৫ সালে এক লোক একজন মহিলাকে জোরকরে ধর্ষণ করেছিলো ,মহিলাটির নাম জ্যাকি । সম্ভবত লোকটি জ্যাকির বন্ধু ছিল ।এরপর ২০০৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এই মহিলা তার বন্ধুকে কিডন্যাপ করে(তার ভাষায় দাওয়াত করে)। তারপর তার কফিতে ড্রাগ মিশিয়ে মাতাল করে। জেকি তার ১৮ বছরের ছেলেকে দিয়ে ঐ বন্ধুর হাত পা বাধতে বলে। তারপর বেসবল ব্যাট দিয়ে এমনভাবে ক্ষতবিক্ষত করে যা দেখলে যেকোনো মানুষ ভয় পাবে । যখন লোকটিকে উদ্ধার করা হলো তখন সে নিজের পায়ে হাটতে পারছিলো না। সবচেয়ে চমকপ্রদ ব্যপার হলো, সে নাকি ঐ লোকের লিঙ্গে আলপিন ও কালি দিয়ে ট্যাটু করে লিখে দিছিলো 'rapist' । মহিলার ছয় বছরের জেল হয়। আদালতে সে ট্যাটুর ব্যপারে বলেছিলো, “If I did it, I did it.”। এটা বলে তিনি কি বুঝিয়েছেন তা এখনো ক্লিয়ার হয় নি......।
Sonnet Ehlers :
আমরা সবসময় খারাপ কাজকে ঘেন্না করি এবং অবশ্যই যারা ধর্ষণ করে তাদের তো সবাই ঘেন্না করে । একজন সৎ মস্তিকের মানুষ খারাপ কাজ এবং খারাপ মানুষকে ঘেন্না করবে আর এইটাই স্বাভাবিক । আর এই ঘেন্না করার ত্রিব্রতা যখন মাত্রাঅতিরিক্ত হয়ে যায় তখন সেটা প্রতিশোধে রুপ নেয় । এই রকমি একজন নারি, যিনি নিজে কখনও ধর্ষণের স্বীকার হয়নি কিন্তু তিনি ডাক্তার হিসাবে অনেক ধর্ষিত নারীর সেবা শুশ্রসা করেছেন। সেবা করতে করতে তার মনে ধর্ষকের ওপর এমন ত্রিব্র ঘেন্নার জন্ম নেয় যা তাকে প্রতিশোধ নিতে বাধ্য করে । তিনি এমন একটি ডিভাইস বানিয়েছিলেন যা ধর্ষকদের জন্য আতংকজনক। তিনি কনডমের গায়ে কাটা লাগিয়েছেন, যা যোনীর ভিতরে রাখা হয়, যাতে ম্যানহুড তো সেফলি পেনিট্রেট করা যাবে কিন্তু বের হবার সময় সার্জারী ছাড়া ওটা ফিরে পাওয়া সম্ভব না। এমন শাস্তি !!! আপনাদের কি মনে হয় ? ধর্ষকের শাস্তি কি এমনই হওয়া উচিত ? কমেন্ট বক্সে অবশ্যই আমাদের জানাবেন ।
Lorena Bobbitt :
এইবার আমি যাকে নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি তিনি বিশ্বব্যাপি পরিচিত । আপনি যদি
Lorena Bobbitt এর নাম শুনে না-ও থাকেন,তাহলে আপনি তার প্রাত্তন স্বামী John Wayne Bobbitt কে অবশ্যই চিনে থাকবেন। google,wikipidea যেখানেই John Wayne Bobbitt নাম সাচ করবেন , আমার বলা ঘটনাটা আপনার চোখের সামনে চলে আসবে । কাহিনীর হলো ১৯৯৩ সালের ২৩শে জুন । জন ঘরে ঢুকেই লরিনাকে ধর্ষণ করে। লরিনা পানি খাওয়ার নাম করে কিচেনে যায়, একটা ছুরি নেয় ও জনের লিঙ্গ গোড়া থেকে কেটে ফেলে। সে কাটা অংশ নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় এবং কিছু দুরে যেয়ে একটা মাঠে অংশ টি ছুড়ে ফেলে দেয়। তারপর সে ৯১১ এ কল দেয়। পরে পুলিশ অনেক খুজাখুজির পর অংশটি পায় এবং প্রায় ৮ ঘন্টা অপারেশনের পর অংশটি জোড়া লাগানো
হয়। সে ঘটনার পর জন দুটি এডাল্ট মুভিও করেছেন...
4. The Trung Sisters :
আমরা যুদ্ধ কথার সাথে পরিচিত ,আমরা অনেকে অনেক বড় বড় বিষয় নিয়ে যুদ্ধের হতে দেখেছি ও শুনেছি, কিন্তু ধর্ষণ প্রতিবাদে যুদ্ধময়দানে একসাথে ৮০হাজার সৈন্যএর যুদ্ধ ? কাহিনীটা ভিয়েতনামের । ভিয়েতনামি এই দুই বোনের কাহিনী আমার কাছে সবচেয়ে টাচ
করছে। Trung Trac and Trung Nhi দুই বোন ছিলো ভিয়েতনামের এক প্রতাপশালী লর্ডের মেয়ে। চীনারা যখন ভিয়েতনাম দখল করে তখন Trung Trac ধর্ষিত হন এবং তার স্বামী নিহত হন। প্রতিশোধ নিতে এই দুই বোন ৮০,০০০ হাজার গৃহহীন মানুষ নিয়ে সৈন্যদল গঠন করে। তাদের সৈন্যদলে ৩৮ জন মহিলা জেনারেল ছিলো(তাদের
মা-ও ছিলো একজন জেনারেল)। কিন্তু ফাইনালি তাদের পরাজিত হতে হয় এবং অনেকেই নিজেদের সম্মান রক্ষা করার জন্য আত্মহত্যা করে, বাকিরা যুদ্ধ করতে করতে মৃত্যুবরন করে। এই বাহিনীর একজন লিডার Phung Thi Chinh, যুদ্ধের সময় প্রেগনেন্ট
ছিলেন। যখন তার বেবি হবার সময় হলো তখন সে বলেছিলো, “oh, fudge it. I got this shit,”। এবং যুদ্ধক্ষেত্রেই বাচ্চাটির জন্ম হয়। বাচ্চাটিকে কাধে ঝুলিয়ে তিনি আবার যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছিলেন ।
করছে। Trung Trac and Trung Nhi দুই বোন ছিলো ভিয়েতনামের এক প্রতাপশালী লর্ডের মেয়ে। চীনারা যখন ভিয়েতনাম দখল করে তখন Trung Trac ধর্ষিত হন এবং তার স্বামী নিহত হন। প্রতিশোধ নিতে এই দুই বোন ৮০,০০০ হাজার গৃহহীন মানুষ নিয়ে সৈন্যদল গঠন করে। তাদের সৈন্যদলে ৩৮ জন মহিলা জেনারেল ছিলো(তাদের
মা-ও ছিলো একজন জেনারেল)। কিন্তু ফাইনালি তাদের পরাজিত হতে হয় এবং অনেকেই নিজেদের সম্মান রক্ষা করার জন্য আত্মহত্যা করে, বাকিরা যুদ্ধ করতে করতে মৃত্যুবরন করে। এই বাহিনীর একজন লিডার Phung Thi Chinh, যুদ্ধের সময় প্রেগনেন্ট
ছিলেন। যখন তার বেবি হবার সময় হলো তখন সে বলেছিলো, “oh, fudge it. I got this shit,”। এবং যুদ্ধক্ষেত্রেই বাচ্চাটির জন্ম হয়। বাচ্চাটিকে কাধে ঝুলিয়ে তিনি আবার যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছিলেন ।
Phoolan Devi :
আমার এই চ্যানেলে যারা ভারতীয় ভিউয়রাস আছেন , আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি তারা সবাই কোন না কোন ভাবে ফুলোন দেবির নামটা শুনেছেন । দস্যু রাণী হিসাবে পরিচিত ফুলন দেবী ১৯৬৩ সালে একটি দরিদ্র নিম্ন জাত হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করে উত্তর ভারতে। ১১ বয়সে তার বিয়ে হয় তার বয়সের তিন গুন বেশী বয়সী এক লোকের সাথে, কিন্তু তার বিয়ে ভেঙ্গে যায় এবং সে তার স্বামী ও পরিবার থেকে পরিত্যক্ত হয়। ২০ বছর বয়সে সে অনেক যৌন নিপীড়নের শিকার হয় এবং অপরাধের জীবন বেছে নেয়। ১৯৭৯ সালে তাকে বিহমাই জায়গার, একটি অস্পষ্ট ঠাকুর গ্রামে কারারুদ্ধ করা হয়। দুই সপ্তাহের জন্য প্রতি রাতে, ঠাকুরদের একটি গ্রুপ ফুলনকে, অধিকাংশ সময় গনধর্ষন করতো তার চেতনা লোপ না হওয়া পর্যন্ত। তিন সপ্তাহ পর তিনি পালিয়ে যেতে সমর্থ হয় এবং একটি দস্যু দল গঠন করে। প্রায় দুই বছর পরে ফুলন গ্রামে ফিরে আসে, গ্রামবাসীর কাছে ঠাকুরদের কথা জানতে চায় যারা তাকে রেপ করেছিল, যখন গ্রামবাসীরা গ্যাং নেতাদের হদিস প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়, তখন ফুলন গ্রামের সব পুরুষকে এক লাইনে দাড়া করিয়ে গুলি করা শুরু করে। ৩০ জনের ২২ জন তখন তখনই মারা যায় যা "সেন্ট ভ্যালেন্টাইন গণহত্যার" নামে পরিচিত, ভারতীয় ইতিহাসে দস্যুদের দ্বারা
বৃহত্তম গণহত্যা হিসাবে বিবেচিত হয় এটি।
তিনি পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে ১৯৮৩ সালে ভগ্নস্বাস্থ্যের জন্য আত্মসমর্পন করে তখন তার গ্যাং সদস্যদের অধিকাংশই মারা গিয়েছিল। তিনি জেলখানায় ১১ বছর সাজা কাটেন এবং জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ভারতীয় সংসদে নির্বাচিত সদস্য হন। ভারতে পদদলিত ও পিছিয়ে
পরা মানুষের রক্ষক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তিনি। ফুলন দেবী এর অপরাধমূলক
রেকর্ড এবং পরবর্তী পুনর্বাসন নিয়ে ভারতে একটি সফল ফিল্ম তৈরি হয়।
২৫শে জুলাই ২০০১ তারিখে তার নয়া দিল্লি বসবাসের গেটের সামনে গাড়ি থেকে বের হবার সময় ফুলন দেবী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
বৃহত্তম গণহত্যা হিসাবে বিবেচিত হয় এটি।
তিনি পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে ১৯৮৩ সালে ভগ্নস্বাস্থ্যের জন্য আত্মসমর্পন করে তখন তার গ্যাং সদস্যদের অধিকাংশই মারা গিয়েছিল। তিনি জেলখানায় ১১ বছর সাজা কাটেন এবং জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ভারতীয় সংসদে নির্বাচিত সদস্য হন। ভারতে পদদলিত ও পিছিয়ে
পরা মানুষের রক্ষক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তিনি। ফুলন দেবী এর অপরাধমূলক
রেকর্ড এবং পরবর্তী পুনর্বাসন নিয়ে ভারতে একটি সফল ফিল্ম তৈরি হয়।
২৫শে জুলাই ২০০১ তারিখে তার নয়া দিল্লি বসবাসের গেটের সামনে গাড়ি থেকে বের হবার সময় ফুলন দেবী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
আসুন একটু সতর্ক হই , ধর্ষণের মত জঘন্ন কাজ থেকে বিরত থাকি এবং আইন
ব্যবস্থাকে আরো জোরদার করি ।আমরাই পারি একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে ।
ব্যবস্থাকে আরো জোরদার করি ।আমরাই পারি একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন