সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৭

Mystery of Yeti [ইয়েতি রহস্য] – Unknown Fact Of Yeti In Bangla – Episode 2




Mystery of Yeti (ইয়েতি রহস্য) – মানুষরুপী জানোয়ার - Unknown Fact Of Yeti In Bangla – Episode 2


পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাবের পর সেই প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের মনে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন প্রস্ন,মতভেত আর বিতর্ক । আর এইসব প্রশ্ন, বিতর্ক সমাধান করতে গিয়ে মানুষ চালিয়েছে অনেক রকম অনুসন্ধান । আর সেই অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে পাহার সমান রহস্য ।
অনেক রহস্যের সমাধান পাওয়া গেলেও কিছু রহস্য এখনও রহস্যই রয়ে গেছে ।
তাই আজ অজানা ৩৬০ এমন একটা বিষয় নিয়ে কথা বলবে যার রহস্য এখনও রহস্য হয়েই আছে ।

‘’ইয়েতি ’’ নামটা অনেকের জানা আছে নিশ্চয়ই ? আবার অনেকেরই অজানা । হিমালয় পর্বতমালায় বসবাসকারী মানুষের মত দু’পেয়ে কিন্তু ইয়া বড় এক প্রানীর নাম ইয়েতি । ইয়েতিনামটা এসেছে তিব্বতি ভাষা থেকে; বাংলা অনুকরন করলে যার মানে দাড়ায় পাথুরে ভল্লুক’! হিমালয়ের মানুষরা আগে বলতো, ইয়েতিরা নাকি সারাক্ষণ বিশাল একটা পাথর নিয়ে ঘুরে বেড়াতো, আত্মরক্ষা নয়তো শিকার করার
জন্য। আর শিস দেয়ার মতো এক রকম শব্দ করতো। আর ওই পাথর নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্যই হয়তো ওদের নাম দিয়েছিলো পাথুরে ভল্লুক বা ইয়েতি।  হিমালয়ের এই কিংবদন্তীর প্রাণীটাকে নিয়ে যে কতো গবেষণা আর জল্পনা-কল্পনা করা হয়েছে তার শেষ নেই তৈরি হয়েছে বেশকিছু মুভিও । এই ইয়েতিরা আসলেই আছে ? কি নেই, এ ব্যাপারে কিন্তু কখনোই নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারন,ওদেরকে এখনো সেভাবে দেখা-ই যায়নি! আর বিজ্ঞানীরাও ওদের ব্যাপারে একমত হতে পারেননি। কোনো বিজ্ঞানী বলেন, ইয়েতিরা অবশ্যই আছে। নইলে অমন বড়ো বড়ো পায়ের ছাপ এলো-ই বা কোত্থেকে? আবার অন্য বিজ্ঞানীরা বলেন, ধুর! ওসব গাঁজাখুরি গল্প।

তাই আজ অজানা ৩৬০ ইয়েতি সম্পর্কে এমন কিছু ঘটনা তুলে ধরবে যা ইয়েতির
অস্তিত্বকে বহন করে । 
তার আগে বলে নিই,যারা এই চ্যানেলটিকে এখনো SUBSCRIBE করেন নি ।তারা এখনি SUBSCRIBE করে নিন কারন আমারা আমাদের এই চ্যানেলটির মাধ্যমে  জানা-অজানা, রহস্য, রোমাঞ্চকর সব ভিডিও আপনাদের
সামনে তুলে ধরা হবে ।

একসময় ইয়েতিদের কথা হিমালয়ের আশেপাশে নেপাল, ভূটান, ভারত আর তিব্বতের মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। ওখানকার মানুষই ওদের কথা জানতো, ওখানকার মানুষই ওদের ভয় করতো, ওখানকার মানুষই ওদের নিয়ে জল্পনা-কল্পনা করতো। ওদের কথা বিশ্ববাসী জানতে পারে ১৮৩২ সালে। সেই বছর হাডসন নামে এক ভদ্রলোক নেপালের হিমালয় ঘুরে এসে লেখেন, তার গাইডরা নাকি এক বিশালাকার ঘন লোমে পুরো শরীর ঢাকা এক অদ্ভূত দুপেয়ে জন্তু দেখেছে। এরপর ইয়েতির ব্যাপারে সারা বিশ্ব আগ্রহী হয়ে ওঠে।

এরপর ১৮৯৯ সালে লরেন্স ওয়েডেল নামের এক অভিযাত্রী দাবি করেন তিনি ইয়েতির
পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছেন। অভিযানকালে তার সাথে থাকা গাইডের কাছেও তিনি ইয়েতির পায়ের ছাপের কথা শোনেন। কিন্তু সেটি তুষারমানবের কিনা সে ব্যাপারে তিনি সন্দিহান ছিলেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ইয়েতি প্রসঙ্গ আবারো বিশ্বজুড়ে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। এরই মধ্যে ১৯১৩ সালে একদল চৈনিক শিকারি হিমালয়ের তুষার ঢাকা অঞ্চলে শিকারে বের হয় এবং পরে দাবি করে তারা হিমালয়ের বরফে ঢাকা অঞ্চলে সারা শরীর কয়েক ইঞ্চি লম্বা রূপালি হলুদ চুল বা লোমে ঢাকা বানরের মতো কুৎসিত থ্যাবড়া মুখাকৃতির বিকট একটি প্রাণী দেখেছেন। বানরের সাথে এর সাদৃশ্য থাকলেও আকৃতিতে বানরের চেয়ে অনেক বড়। দু
'পেয়ে প্রাণীটি অনেকটা
মানুষের মতোই চলাফেরা করে এবং দেখে সহজেই ধারণা করা যায় প্রাণীটি অসাধারণ
শক্তিশালী।
১৯২১ সালে কর্নেল সি কেক হাওয়ার্ড বেরির নেতৃত্বে একদল অভিযাত্রী এভারেস্ট অভিযানে যায় এবং সে উদ্দেশে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০ হাজার ফুট ওপরে পৌঁছান। সেখানে তারা হিমবাহের নিকটে কয়েকটি বিশাল আকৃতির মানুষের পায়ের ছাপের মতো পদচিহ্ন লক্ষ্য করেন। তুষারশৃঙ্গ এভারেস্ট থেকে মাত্র ৭৮৬ ফুট নিচে অবস্থিত একটি জায়গার নাম রংবুক যেটি অশান্ত ও রহস্যময় স্থান নামে পরিচিত। জায়গাটির আয়তন ২৬৫ বর্গকিলোমিটার এবং সব সময় সেখানে প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া বয়।
১৯২২ সালের দিকে বেশ ক
'জন পর্বতারোহী সেখানে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিলেন।
ওই অভিযাত্রী দলটিতে একজন চিকিৎসক ছিলেন। তার নাম আলেকজান্ডার কিউলাস্ক। সেখানে আকস্মিক কিউলাস্ক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি মারা গেলেন। মারা যাওয়ার সময় তিনি বার বার প্রলাপ বকছিলেন। প্রলাপের সময় তিনি এক লোমশ দানবের কথা বলছিলেন।
১৯২৩ সালে এভারেস্ট অভিযাত্রী ব্রিটিশ নাগরিক মেজর আলান ক্যামেরুন জানিয়েছিলেন অভিযান চলাকালে তিনি হিমালয়ের হিমরেখার ঊর্ধ্বে খাড়া শৈল প্রাচীরের গা ঘেঁষে সংকীর্ণ একটা পথে একদল মানবাকৃতির প্রাণীকে হেঁটে যেতে দেখেছেন।
১৯৩৭ সালে ফ্রাঙ্ক স্মিদি নামের আরেক ব্রিটিশ অভিযাত্রী তিববতে গিয়ে ১৪ হাজার
ফুট উঁচুতে অতিকায় প্রাণীর পদচিহ্ন দেখতে পান। তিনি সেই পদচিহ্নগুলোর মাপও
নিয়েছিলেন। পদচিহ্নগুলো লম্বায় ছিল প্রায় ১৩ ইঞ্চি আর চওড়ায় ছিল প্রায় ৫
ইঞ্চি। ১৯৫১ সালে হিমালয় অভিযাত্রী এরিক শিপটন ২৩ হাজার ৪৪০ ফুট উচ্চতায়
গৌরীশঙ্কর শৃঙ্গের কাছাঁকাছি অঞ্চলে অতিকায় প্রাণীর পদচিহ্ন দেখতে পেয়ে তার ছবি
তুলে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে সেই ছবি সংবাদপত্রে ছাপা হলে বিশ্বব্যাপী বিরাট আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সবাই এ ছবি দেখে ইয়েতিদের পায়ের ছাপ মনে করলেও বিজ্ঞানীরা এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেননি। এরই মধ্যে ১৯৫৮ সালে পাওয়া গেল ইয়েতিদের সম্পর্কে আরো কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবারের হোতা আমেরিকান তথ্যানুসন্ধানী ডক্টর নরম্যান ডাইরেনফার্ম এবং অভিযাত্রী মি
. ম্যাকলিনের কাছ থেকে জানা গেল ইয়েতি নামের তুষার বানর আসলে নিম্নস্তরের এক ধরনের মানুষ বা মানব সদৃশ্য প্রাণী। এরা হিমালয়ের নিভৃত গুহায় বাস করে এবং বাইরে খুব

একটা চলাফেরা করে না। প্রচন্ড শীত ও বৈরী পরিবেশেও এরা সহজে টিকে থাকতে পারে। তাদের আনা বিভিন্ন প্রমাণ থেকে জানা যায় ইয়েতিদের মধ্যে দুটো প্রজাতির রয়েছে, এদের মধ্যে একটি প্রজাতি লম্বায় ৮ ফুট এবং অন্যটির উচ্চতা ৪ ফুটের কাছাঁকাছি। সবশেষে আপনাদের কাছে একটি প্রশ্ন, আসলেই কি ইয়েতি আছে ? নাকি এটি সুধুই একটি গুজব আর যদি ইয়েতি নাই থাকে তাহলে যুগে যুগে মানুষের দেখা সেই প্রাণীটি কি ? আপনাদের এই বিষয়ে কোন মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে আমাদের জানাবেন । 

আমাদের এই ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে google , Wikipedia এবং বিভিন্ন সোসাল মিডিয়ার সহযোগিতায় । আমাদের উদ্দেশ্য আপনাদের
বিনোদন ঘটানো , সত্যতা বিচারক আপনারা নিজেই ।
ভিডিওটি ভাল লাগলে প্রথমে SUBSCRIBE করবেন, লাইক দিবেন এবং
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না ।
               ভিডিওটি দেখার জন্য ধন্যবাদ



Some Terrible Games [ভয়ঙ্কর কিছু গেমস] Mysterious Games In Bangla - Epis...





                                    ভয়ঙ্কর কিছু গেমস



বর্তমান সময়ে বিনোদনের জন্য খুব জনপ্রিয় একটি মাধ্যম গেমস। বিশেষ করে আধুনিক বিশ্বে উন্মাদনার অপর এক নাম ভিডিও গেমস বা অনলাইন গেমস । কেননা ভিডিও গেমস বা অনলাইন গেমসগুলো এখন অনেক বেশি উপভোগ্য এবং চ্যালেঞ্জিং  কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং গেম খেলতে অনেকেই পছন্দ করেন। আর তাদের এই নেশা একদিন তাদের মানসিক ভাবে বিপদগ্রস্ত করে এবং এর ফল মিত্যুও হয়ে থাকে । তাই অজানা ৩৬০ আজ এমন কিছু ভয়ঙ্কর গেমস নিয়ে হাজির হয়েছে যেসব গেমস কখনও খেলা উচিত নয় ।

Blue Whale The Suicide Game ঃ

নামটা এখন সোসাল মিডিয়ার আলোচিত বিষয় । এটি একটি ড্রাক অয়েভের গেম । ব্লু হয়েল গেমটা আবিষ্কার করেছেন রাসিয়ান এক হ্যাকার টিম । অল্পবয়সিদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় এই গেম । এর একটা করে লেভেল পার হওয়া মানে একটু করে আত্মহত্যার দিকে এগিয়ে যাওয়া  গেমটিতে এক একদিন এক একটি করে কাজ দেওয়া হয় । গ্রুপ অ্যাডমিনের দেওয়া টাস্ক পূরণ করতে পারলেই পৌঁছে যাওয়া যায় পরের ধাপে। গেমটা অনলাইন খেললেও কাজগুলো করতে হবে বাস্তবে ।  যেমনএকা বসে দেখতে হবে একটি ভূতের ছবি । ভয় না পেয়ে সে ছবি দেখে শেষ করতে পারলেই যাওয়া যাবে পরের লেভেলে । মোট ৫০ দিন ধরে খেলা হবে এই গেম এবং একদম শেষ ধাপটা পার করা মানেই আত্মহত্যা  আর তারপরই গেম ওভার  বর্তমানে গেমটা নিশিদ্দ ঘোষোণা করা হয়েছে । এই গেম খেলা আইনত দন্দনিয় অপরাদ । ভুল করেও কখনও এই গেম খেলবেন না ।
Sad Satan ঃ

ভিডিও জগতের আর একটি ভয়ংকর গেমস হল স্যাদ স্যাটান । আইরিশ একজন যুবক যার নাম জেমি ফারেল , তার এক অদ্ভূত নেশা রয়েছেভার্চুয়াল জগতের ডার্কেস্ট ফ্যাক্টগুলো খুঁজে বের করা। এই নেশার তাগিদেই ইন্টারনেট ঘাঁটতে ঘাঁটতে একদিন তার নজরে পড়ে এক অদ্ভুত ভিডিও গেম। যার নাম স্যাড স্যাটান। বাংলায় যার মানে দাঁড়ায় দুঃখিত শয়তান। এটিকে বলা হচ্ছেবিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর ভিডিও গেম। যারা খেলেছেন তারাই এই দাবিই করেছেন। আজ অবধি কেউ জানে নাকে তৈরি করেছিলেন এই গেমটি। জেমি নিজে একজন দক্ষ গেমার। কিন্তু এই গেমটি খেলতে গিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। জেমির মতেসব সময় মনে হতো যেন গেমের কাল্পনিক চরিত্ররা বাস্তবেও তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। গেমটির মাত্র পাঁচটি পর্ব রয়েছে ইউটিউবে ।

The Fear :

গেমসটি ২০০৫ সালে রিলিস করা হয় । এই গেমসটি ভৌতিক মুভির চেয়েও ভয়ংকর একটি গেমস । গেমসটিতে দেখা যায় এক লোকের বউ পাগল হয়ে যায় এবং সে তার বউকে পাগলা গারতে রেখে আসে। সেখানে তার বউ আত্তহত্যা করে এবং লোকটি যখন ২য় বিয়ে করেন তখন তার ১ম ইস্তিরি ভূত হয়ে সেই লোকটির কাছে ফিরে আসে । এই গেমসটি একাকী কোথাও বসে খেললে ভয় পাওয়ার নিশ্চয়তা ১০০ ভাগ । এবং গেমসটি আপনার মস্তিস্কে ডুকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত করে যা এক জন মানুসের বাস্তব জিবনে ব্যাপকভাবে ক্ষতিসাধন করে 


Horror Hospital 2 ঃ

এটিও একটা অত্যন্ত ভয়ংকর গেমস । গেমটিতে এমন কিছু গ্রাফিস এর ব্যবহার করা হয়েছে যে, যা সত্যিকার ভূত বা প্রেত এর চেয়ে কম নয় । গেমসটিতে দেখা যায় অন্ধকার একটি বাড়ি, যেখানে আপনি ঘুরে বেড়াবেন । আর তখন হঠাত আপনার সামনে ভূত চলে আসবে । যা গেমটি খেলার সময় মস্তিষ্কে আঘাত হানে বলে দাবি করেছেন বিভিন্ন খেলোয়াড়রা । যারা খুবিই ভিতু তারা কখনও খেলবেন না এই গেমটি , আর খেললে আপনি মানিসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন ।

শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৭

ধর্ষিত নারী,যারা প্রতিশোধ নিয়েছিলো !! Top 5 ধর্ষিত নারী – জানা অজানা Ban...



ধর্ষিত নারী যারা প্রতিশোধ নিয়েছিলো


আপনি কি কখনও শুনেছেন কোন পুরুষ ধর্ষণ হতে ? হয়তো শুনেছেন কিন্তু সেটা খুব কম সময় । কিন্তু যদি বলি নারি ধর্ষণ ? হ্যা, এইবার আপনার উত্তর হবে “শুনেছি” কারন নারি ধর্ষণ এর কথা সবাই শুনেছেন । বর্তমান সময়ে ধর্ষণ একটি ভয়াবহ ব্যাধীর নাম আর নারিরাই বেশি এই ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকে প্রতিদিন সারা বিশ্বে কয়েক হাজার নারি ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকে । আর ধর্ষণের তালিকা করলে প্রথমে চলে আসে যুক্তরাষ্ট এর নাম
ধর্ষিত নারির খুব কম সংখ্যক নারিই সঠিক বিচার পেয়ে থাকে কিন্তু কিছু বিচার বিচারকের আদেশের অপেক্ষায় থাকে না, কিছু সাজা ভিক্টিম নিজেই দিয়ে থাকে তাই আজ অজানা৩৬০ আপনাদের ধর্ষক, ধর্ষিত ও প্রতিশোধের এমন কিছু সত্য ঘটনা তুলে ধরবে, আমি মনে করি ধর্ষকদের বিচার এমনই হওয়া উচিত


    Jackie Clarke :

সিরিয়াসলি, কাহিনীটা কন্সপারেসিতে ভরা ২০০৫ সালে এক লোক একজন মহিলাকে জোরকরে ধর্ষণ করেছিলো ,মহিলাটির নাম জ্যাকি সম্ভবত লোকটি জ্যাকির বন্ধু ছিল এরপর ২০০৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এই মহিলা তার বন্ধুকে কিডন্যাপ করে(তার ভাষায় দাওয়াত করে) তারপর তার কফিতে ড্রাগ মিশিয়ে মাতাল করে জেকি তার ১৮ বছরের ছেলেকে দিয়ে ঐ বন্ধুর হাত পা বাধতে বলে তারপর বেসবল ব্যাট দিয়ে এমনভাবে ক্ষতবিক্ষত করে যা দেখলে যেকোনো মানুষ ভয় পাবে যখন লোকটিকে উদ্ধার করা হলো তখন সে নিজের পায়ে হাটতে পারছিলো না সবচেয়ে চমকপ্রদ ব্যপার হলো, সে নাকি ঐ লোকের লিঙ্গে আলপিন ও কালি দিয়ে ট্যাটু করে লিখে দিছিলো 'rapist'  মহিলার ছয় বছরের জেল হয় আদালতে সে ট্যাটুর ব্যপারে বলেছিলো, “If I did it, I did it.” এটা বলে তিনি কি বুঝিয়েছেন তা এখনো ক্লিয়ার হয় নি......  

    Sonnet Ehlers :

আমরা সবসময় খারাপ কাজকে ঘেন্না করি এবং অবশ্যই যারা ধর্ষণ করে তাদের তো সবাই ঘেন্না করেএকজন সৎ মস্তিকের মানুষ খারাপ কাজ এবং  খারাপ মানুষকে ঘেন্না করবে আর এইটাই স্বাভাবিক । আর এই ঘেন্না করার ত্রিব্রতা  যখন মাত্রাঅতিরিক্ত হয়ে যায় তখন সেটা প্রতিশোধে রুপ নেয় এই রকমি একজন নারি, যিনি নিজে কখনও ধর্ষণের স্বীকার হয়নি  কিন্তু তিনি ডাক্তার হিসাবে অনেক ধর্ষিত নারীর সেবা শুশ্রসা করেছেন সেবা করতে করতে তার মনে ধর্ষকের ওপর এমন ত্রিব্র ঘেন্নার জন্ম নেয় যা তাকে প্রতিশোধ নিতে বাধ্য করে তিনি এমন একটি ডিভাইস বানিয়েছিলেন যা ধর্ষকদের জন্য আতংকজনক তিনি কনডমের গায়ে কাটা লাগিয়েছেন, যা যোনীর ভিতরে রাখা হয়, যাতে ম্যানহুড তো সেফলি পেনিট্রেট করা যাবে কিন্তু বের হবার সময়  সার্জারী ছাড়া ওটা ফিরে পাওয়া সম্ভব না  এমন শাস্তি !!! আপনাদের কি মনে হয় ? ধর্ষকের শাস্তি কি এমনই হওয়া উচিত ? কমেন্ট বক্সে অবশ্যই আমাদের জানাবেন ।

     Lorena Bobbitt :

এইবার আমি যাকে নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি তিনি বিশ্বব্যাপি পরিচিত । আপনি যদি
Lorena Bobbitt এর নাম শুনে না-ও থাকেন,তাহলে আপনি তার প্রাত্তন স্বামী John Wayne Bobbitt কে অবশ্যই চিনে থাকবেন
google,wikipidea যেখানেই John Wayne Bobbitt নাম সাচ করবেন , আমার বলা ঘটনাটা আপনার চোখের সামনে চলে আসবে কাহিনীর হলো ১৯৯৩ সালের ২৩শে জুন জন ঘরে ঢুকেই লরিনাকে ধর্ষণ করে লরিনা পানি খাওয়ার নাম করে কিচেনে যায়, একটা ছুরি নেয় ও জনের লিঙ্গ গোড়া থেকে কেটে ফেলে সে কাটা অংশ নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় এবং কিছু দুরে যেয়ে একটা মাঠে অংশ টি ছুড়ে ফেলে দেয় তারপর সে ৯১১ এ কল দেয় পরে পুলিশ অনেক খুজাখুজির পর অংশটি পায় এবং প্রায় ৮ ঘন্টা অপারেশনের পর অংশটি জোড়া লাগানো
হয়
  সে ঘটনার পর জন দুটি এডাল্ট মুভিও করেছেন... 

4. The Trung Sisters :

আমরা যুদ্ধ কথার সাথে পরিচিত ,আমরা অনেকে অনেক বড় বড় বিষয় নিয়ে যুদ্ধের হতে দেখেছি ও শুনেছি, কিন্তু ধর্ষণ প্রতিবাদে যুদ্ধময়দানে একসাথে  ৮০হাজার সৈন্যএর যুদ্ধ ? কাহিনীটা ভিয়েতনামের ভিয়েতনামি এই দুই বোনের কাহিনী আমার কাছে সবচেয়ে টাচ
করছে
Trung Trac and Trung Nhi দুই বোন ছিলো ভিয়েতনামের এক প্রতাপশালী লর্ডের মেয়ে চীনারা যখন ভিয়েতনাম দখল করে তখন Trung Trac ধর্ষিত হন এবং তার স্বামী নিহত হন প্রতিশোধ নিতে এই দুই বোন ৮০,০০০ হাজার গৃহহীন মানুষ নিয়ে সৈন্যদল গঠন করে তাদের সৈন্যদলে ৩৮ জন মহিলা জেনারেল ছিলো(তাদের
মা
-ও ছিলো একজন জেনারেল)
কিন্তু ফাইনালি তাদের পরাজিত হতে হয় এবং অনেকেই নিজেদের সম্মান রক্ষা করার জন্য আত্মহত্যা করে, বাকিরা যুদ্ধ করতে করতে মৃত্যুবরন করে এই বাহিনীর একজন লিডার Phung Thi Chinh, যুদ্ধের সময় প্রেগনেন্ট
ছিলেন
যখন তার বেবি হবার সময় হলো তখন সে বলেছিলো, “oh, fudge it. I got this shit,” এবং যুদ্ধক্ষেত্রেই বাচ্চাটির জন্ম হয় বাচ্চাটিকে কাধে ঝুলিয়ে তিনি আবার যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছিলেন  

 Phoolan Devi :

আমার এই চ্যানেলে যারা ভারতীয় ভিউয়রাস আছেন , আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি তারা সবাই কোন না কোন ভাবে ফুলোন দেবির নামটা শুনেছেন । দস্যু রাণী হিসাবে পরিচিত ফুলন দেবী ১৯৬৩ সালে একটি দরিদ্র নিম্ন জাত হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করে উত্তর ভারতে ১১ বয়সে তার বিয়ে হয় তার বয়সের তিন গুন বেশী বয়সী এক লোকের সাথে, কিন্তু তার বিয়ে ভেঙ্গে যায় এবং সে তার স্বামী ও পরিবার থেকে পরিত্যক্ত হয় ২০ বছর বয়সে সে অনেক যৌন নিপীড়নের শিকার হয় এবং অপরাধের জীবন বেছে নেয় ১৯৭৯ সালে তাকে বিহমাই জায়গার, একটি অস্পষ্ট ঠাকুর গ্রামে কারারুদ্ধ করা হয় দুই সপ্তাহের জন্য প্রতি রাতে, ঠাকুরদের একটি গ্রুপ ফুলনকে, অধিকাংশ সময় গনধর্ষন করতো তার চেতনা লোপ না হওয়া পর্যন্ত তিন সপ্তাহ পর তিনি পালিয়ে যেতে সমর্থ হয় এবং একটি দস্যু দল গঠন করে  প্রায় দুই বছর পরে  ফুলন গ্রামে ফিরে আসে, গ্রামবাসীর কাছে ঠাকুরদের কথা জানতে চায় যারা তাকে রেপ করেছিল, যখন গ্রামবাসীরা গ্যাং নেতাদের হদিস প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়, তখন ফুলন গ্রামের সব পুরুষকে এক লাইনে দাড়া করিয়ে গুলি করা শুরু করে ৩০ জনের ২২ জন তখন তখনই মারা যায় যা "সেন্ট ভ্যালেন্টাইন গণহত্যারনামে পরিচিত, ভারতীয় ইতিহাসে দস্যুদের দ্বারা
বৃহত্তম গণহত্যা হিসাবে বিবেচিত হয় এটি
 
তিনি পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে ১৯৮৩ সালে ভগ্নস্বাস্থ্যের জন্য আত্মসমর্পন করে তখন তার গ্যাং সদস্যদের অধিকাংশই মারা গিয়েছিল
তিনি জেলখানায় ১১ বছর সাজা কাটেন এবং জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ভারতীয় সংসদে নির্বাচিত সদস্য হন ভারতে পদদলিত ও পিছিয়ে
পরা মানুষের রক্ষক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তিনি
ফুলন দেবী এর অপরাধমূলক
রেকর্ড এবং পরবর্তী পুনর্বাসন নিয়ে ভারতে একটি সফল ফিল্ম তৈরি হয়
 
২৫শে জুলাই ২০০১ তারিখে তার নয়া দিল্লি বসবাসের গেটের সামনে গাড়ি থেকে বের হবার সময় ফুলন দেবী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান


আসুন একটু সতর্ক হই , ধর্ষণের মত জঘন্ন কাজ থেকে বিরত থাকি এবং আইন
ব্যবস্থাকে আরো জোরদার করি ।আমরাই পারি একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে ।

শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

হাহাকার


       হাহাকার  


সমস্ত কষ্টকে দুরে ঠেলে দিয়ে যখন তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম,তোমার দিকে হাত বাড়ালাম তোমার হাতের স্পর্শ পাবার জন্য,তুমি আপন সুপোয়ে হাতটা ধরে নিলে।কিন্তু এটা যে তোমার ছলনা ছিলা তা কখনও টের পাই নি।আমাকে একা করে রেখে ঠিকি চলে গেলে।

শীতের সকালের কুয়াশায়,চাদর মুড়ি দিয়ে তুমি এসেছিলে আমার জিবনে। আর যখন চলে গেলে,বৈশাখী ঝড়ের মত সব তচনচ করে চলে গেলে।
কেন চলে গেলে গো! তুমি তো জানতে,তোমাকে ছাড়া আমার জিবন মূল্যহীন।তোমাকে ছাড়া আমি একাকী।এই একাকৃত্ব জিবন আর ভাললাগে না আমার।

আচ্ছা তোমার কি সেই দিনগুলো মনে পড়ে,যখন বিকেলের সোনালি রোঁদে আমরা খালি পায়ে সবুজ ঘাঁসের উপর পাশাপাশি হাটতাম।বিকেলের ককিল কুহুকুহু ডাকত,সেই ডাকে তুমি সারা দিলে ককিল আবার সারা দিত।
যানো? এখনও বিকেলে হাঁটতে ইচ্ছে করে,কিন্তু আগের মত মজা পাই না,ককিলও ডাকে কিন্তু আমার ডাকে সারা দেয় না।

কেন এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে তুমি চলে গেলে? কেন আমায় একা করে দিলে।কি এত তাঁরা ছিল তোমার ,যে এই পৃথিবী মায়া ত্যাগ করলে।
জানো প্রতিরাতে তোমাকে আকাশের তাঁরার মাঝে খুজতে চেষ্টা করি কিন্তু সাদা মেঘ আর কুয়াশাও তোমার মত স্বার্থপর,আড়াল করে রাখে তাঁরা গুলো,তোমাকে দেখতে দেয় না ।।।।কেন চলে গেলে গো !! কেন চলে গেলে !!

শীতের কুয়াশায় চাদর মুড়ি দিয়ে,এসেছিলে তুমি আমার জিবনে।

জানি রেখেছিলে বুকের বাম পাশে,তবু কেন আমায় ছেড়ে চলে গেলে।

খুঁজি তোমায় এখনও কাকতাড়ুয়ার বেশে,ভালবাসি আমি এখনও তোমাকে।
Jubayer Hosen Jr.. Blogger দ্বারা পরিচালিত.

Translate