_____"ভালবাসার শেষ পরিণতি"____
লেখক: Jubayer Hosen Jr.
নতুন এক স্কুলে ভর্তি হল জুবায়ের।নতুন নতুন সব বন্ধু কিন্তু কাউকেই সে চেনে না।
আর এর ভেতর দেখা হয়ে গেল তার পূর্বের পরিচিত এক বন্ধুর সাথে।
তাদের পাশের এলাকায় তার বাড়ি।এখানে
তাদের সাথেই পড়ে নবম শ্রেণীতে।
প্রথম তার মাধ্যমেই জুবায়ের স্কুলের নিয়ম কানুন
শিখতে লাগল এবং অল্প দিনেই অনেকের
সাথে পরিচয় হয়ে গেল।
ও হে জুবায়ের তো ইংরেজিতে কাঁচা।তাই একজন ভাল শিক্ষক দেখে সে সেই প্রাইভেট সেন্টারে ভর্তি হলো।সবাই তাদের সাথে একই শ্রেণিতে পড়ে শুধু একজন আছে যে সবে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে।
তাও আবার মেয়ে।নাম পাখি(ছন্দ নাম)। দেখতে অনেক সুন্দর,আচার ব্যবহার
খারাপ না,মেধাবী ছাত্রী।দেখে বোঝাই
যায় না সে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে ।
তবে সবার সাথে একটু বেশী কথা বলে।
তাই বলে এই না যে খারাপ কিছু ।তাই
জুবায়ের সেখানে ভর্তি হতেই তার
সাথে একটা ভাল সম্পর্ক হয়ে যায়
পাখির ।
যদিও জুবায়ের তার চেয়ে উচ্চতর শ্রেণীতে পড়ে ।তবুও জুবায়ের তার সাথে ভাল সম্পর্ক গড়ে তোলে ।এবং কখন যে দুইজন দুইজনকে এত কম
বয়সে ভালবেসে ফেলে তারা বুঝতেই
পারেনি ।
কিন্তু কেউ কাউকে বলে না । আসলে বলার সাহস পায় না । যদি সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে যায় ?একদিন জুবায়ের তাকে না বলে তার সেই পরিচিত বন্ধুকে কথাটা বলল ।
এবং সে পরের দিনই কথাটা পাখিকে বলে দেয় ।আর কি করার তারা তো দুইজনই দুইজনকে আগে থেকেই ভালবাসে ।শুধু বলাটাই বাঁকি ছিল ।
এই ভাবেই চলে যায় তাদের প্রেম জিবনের দুইটা বছর ।আর জুবায়ের এই বার এস.এস.সি পরিক্ষা দিবে ।তাই তাদের শ্রেণির সবাইকে স্কুল থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসতে হচ্ছে সবার কাছ থেকে ।
পাখি জুবায়ের এর কাছে এসে
বলল(নরম গলায়)তোমার সাথে কি আর দেখা হবে না ?বলতেই
চোখে পানি চলে আসল পাখির ।
সাথে সাথে জুবায়ের তার
চোখটা মুছে দিয়ে,বলল ধুর
পাগলী দেখা হবে না কেন ?
আমি তো মাঝে মাঝে আসে দেখা করে
যাব।আর ফোন নম্বর তো আছেই তোমার কাছে ।আর পুরোনো সেই সব
স্মিতিগুলো(তারা মাঝে মাঝে দুই জন
দুই জনকে কিছু গিফট পাঠাত)।
কথাটা জুবায়ের স্বার্ভাবিক ভাবে বলল
টিকই কিন্তু বুকের ভিতর যেন ঝড় বয়ে গেল ।তাই বেশী দেড়ি না করে চলে আসল জুবায়ের ।
আর এর ভিতর জুবায়ের এর পরিক্ষা শেষ না হতেই একদিন বিকেলে ফোন এল পাখির ।অচেনা নম্বর থেকে ফোন ।হয়ত তার কোন বান্ধবীর নম্বর থেকে।
যদিও পাখির ব্যাক্তিগত ফোন নেই ।তাই সে জুবায়েরকে বেশি ফোন দেওয়ার সুযোগ পায় না ।আর তাই এই ভাবে ফোন আসাতে একটু আনান্দিত হল জুবায়ের ।আর সেই দিন একটু বেশীই রোমান্টিক ভাবে কথা হল দুজনের ।
আর পরের দিন আবার হঠাত্ ফোন এল তার এক বন্ধুর ।ফোনটা কানে নিতেই সে বলল দোস্ত পাখির বিয়ে আগামি শুত্রবার ।
কথাটা শুনতেই যেন জুবায়ের এর বুক
ভেত করে তীর বেরিয়ে গেল ।তার
পরে তার বন্ধু যে ফোনে আর কি বলল
হয়ত সে বুঝতেই পারে নি ।
এর পর পাখির সাথে যারা বেশি সময় কাটাত বা যারা তার কাছের বন্ধু ছিল ।তাদের কাছে ফোন করতে লাগল জুবায়ের ।
কিন্তু কেউ তাকে এই কথা বলে না।
সবাই এড়িয়ে চলে জুবায়েরকে আর
বলে আপনার এখন পরিক্ষা আপনি এই
সব নিয়ে ভাববেন না।
আসলে পাখি সবাইকে বাড়ন করে দিয়েছিল।কারণ জুবায়ের কষ্ট পাবে আর পরিক্ষার আগে বিয়ের কথা শুনে পরিক্ষাটাও খারাপ হতে পারে।
যদিও বিয়েটা পাখির মতের বিরুদ্ধে হচ্ছে এবং তার এক পরিচিত দুর
সম্পর্কের ভাইয়ের সাথে।
কিন্তু পাখিটার আর কি করার।জুবায়ের
তো সবে এস এস সি দিচ্ছে হয়ত বাসায়
বললে মেনে নেবে না তাই
তাকে বিয়েটা করতে হচ্ছে নিজের মতের বিরুদ্ধে।
কিন্তু জুবায়ের কি করবে এখন?কিছুই
সে বুঝে উঠতে পারল না জুবায়ের।এর
মধ্য শুত্রবার চলে আসল বিয়ে হয়ে গেল
পাখির ।মাথায় চন্দন,হাতে চুরি, লাল
শাড়ি,গলায় হার পরে বধূ বেশে চলে গেল পাখি তার শ্বশুর বাড়ি ।
হয়তো পাখি তার নতুন জিবন
নিয়ে চলতে ভুলে যাবে জুবায়েরকে।
মিশে যাবে জুবায়ের তার অতীতের
সাখে ।
কিন্তু জুবায়ের কি পারবে তাকে ভুলে যেতে?বিছানায় শুয়ে বালিসে মাথা রেখে ভাবছে জুবায়ের ।আর চোখে অঝোড় পানি লুটিয়ে পড়ছে বালিসে.... ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন